ইসলামী সাহিত্যের নিদর্শন

Image
ইসলামী সাহিত্যের নিদর্শন ইসলামী দাওয়াত প্রথম দিন থেকেই সঠিক বিপ্লবের রূপে আত্মপ্রকাশ করে। চিন্তার মোড় ফিরিয়ে দেয়া, কথা ও কাজের ধারার পরিবর্তন করা এবং সমাজ কাঠামো বদলে দেয়াই হয় তার লক্ষ্য। সাহিত্যের যে ধারা জাহেলী যুগ থেকে চলে আসছিল ইসলাম এসে তার খোল নলচে পাল্টে দেয়। জাহেলী যুগের কবিদের সম্পর্কে কুরআনের সূরা আশ শূ’আরায় বলা হয়: ওয়াশ শু’আরাউ ইয়াত্তাবিউ হুমুল গবূন, আলাম তারা আন্নাহুম ফী কুল্লি ওয়াদিঁই ইয়াহীমূন, ওয়া আন্নাহুম ইয়াকূলূনা মা-লাইয়াফআলূন – “আর কবিরা! ওদের পেছনে তো চলে পথভ্রষ্ট যারা, দেখছোনা তারা মাথা খুঁড়ে ফেরে প্রতি ময়দানে আর বলে বেড়ায় যা করে না তাই।“ এভাবে জাহেলী যুগের সাহিত্য চিন্তার মূলধারাকে ইসলাম ভ্রষ্টতার আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে। জাহেলী যুগের সাহিত্য চিন্তা কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্যাভিসারী ছিল না। বিভ্রান্ত চিন্তার বিভিন্ন অলিতে গলিতে সে চিন্তা ছুটে বেড়াতো। চিন্তার স্থিরতার মাধ্যমে জীবনকে কোন এক লক্ষ্যবিন্দুতে পৌঁছিয়ে দেয়ার দায়িত্ব সেখানে নেয়া হয়নি। তাই জাহেলী যুগের কবিদের কথা ও কাজের কোন মিল ছিল না। বড় বড় বুলি আওড়ানোই ছিল তাদের পেশা। সেই অনুযায়ী কাজ করা বা নিজেদের দাবী অনুযায়ী ...

ওজন সমাচার

 অনলাইনে কিছু শুকনো খাবার অর্ডার করেছিল আবদুল্লাহ। "বিশ্ব টাকে দেখবো আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে"- একথা একসময় শুধু কবিতায় ছিল। ছিল ব‌ইয়ের পাতায়। এখন তা আমাদের জীবনের পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছে। আমরা এখন যা খেতে চাই যা দেখতে চাই, তা করতে চাই- সব‌ই হাতের মুঠোয়! আবদুল্লাহ এই প্রথম কিছু অর্ডার করল অনলাইনে! ডেলিভারি ম্যান বাসায় এসে পৌঁছিয়ে দিলো। এই অনুভূতিটাই অন্যরকম। প্যাকেট খুলে আবদুল্লাহ দেখতেই অবাক। খুবই ভালো জিনিস। যেমন ভেবেছে তার চেয়েও ভালো। আচ্ছা, ওজন ঠিক আছে তো? কৌতূহল থেকে গেল মেপে দেখলো না, কম তো নেই- ই বরং বেশি কিছু বেশি আছে! অদ্ভুত! আলহামদুলিল্লাহ পড়লো কয়েক বার। খুশিতে তার বাবাকে বললো সব কিছু। তার বাবা বললেন তুমি ভালো মানুষের হাতে পরেছো। তবে, এ জগতে খারাপ মানুষের সংখ্যা কম নেই। যারা ওজনে কম দেয়, মানহীন পণ্য দেয়।

আবদুল্লাহ বলল, ওজনে কম দেয়া মানুষ তো প্রতারক। তাদের ব্যাপারে ইসলাম কি বলে ? 

তার বাবা বললেন, তাদের নামে একটি সূরা আছে কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, "দুর্ভোগ তাদের জন্য যারা মাপে ও ওজনে কম দেয়। যারা মানুষের কাছ থেকে যখন মেপে নেয়, তখন পুরোপুরি নেয়। আর যখন ওজন করে দেয় তখন কম দেয়। তারা কি ভাবে না, তাদেরকে আবার কবর থেকে উঠানো হবে? এক মহা দিবসে যেদিন মানুষ বিশ্ব জগতের প্রভুর সামনে দাঁড়াবে?  ‌‌‌‌‌‌‌না, না, তারা মোটেও ভালো কাজ করছে না। পাপীদের আমলনামা অবশ্যই সিজ্জিনে আছে।" ( সূরা মতাফফিফিন: ১-৭ ) ।

মহানবী (সা) মদিনায় এসে দেখলেন, ওজনে কম দেওয়া মদিনা বাসীদের কাছে খুবই সহজ একটি বিষয়! তখন আল্লাহ এ সূরা নাজিল করেন। এর পর মদিনাবাসী এ কাজ থেকে বিরত হয়। নবী শুয়াইব (আ)- এর জাতির মধ্যে ও এ স্বভাব সাধারণ ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি তাদেরকে বার বার নসিহত করেছিলেন তবুও তারা এ কাজ থেকে ফিরে আসেনি।  এ অপরাধের কারণে আল্লাহ তাদের ওপর আজাব নাজিল করেছিলেন। তবে শুধু ওজন নয়, গণনায় কম দিলেও তা হারাম হবে। প্রাপকের প্রাপ্য পুরোপুরি দিতে হবে। সেটা জীবনের সকল কাজেই। এমন কি ইবাদাতেও।

আবদুল্লাহ বলল, আল্লাহ আমাদের এমন হারাম কাজ থেকে দূরে রাখুন। তার বাবা বললেন আমিন!



Comments

Popular posts from this blog

জীবন ও জগতের সম্পর্ক