ইসলামী সাহিত্যের নিদর্শন

Image
ইসলামী সাহিত্যের নিদর্শন ইসলামী দাওয়াত প্রথম দিন থেকেই সঠিক বিপ্লবের রূপে আত্মপ্রকাশ করে। চিন্তার মোড় ফিরিয়ে দেয়া, কথা ও কাজের ধারার পরিবর্তন করা এবং সমাজ কাঠামো বদলে দেয়াই হয় তার লক্ষ্য। সাহিত্যের যে ধারা জাহেলী যুগ থেকে চলে আসছিল ইসলাম এসে তার খোল নলচে পাল্টে দেয়। জাহেলী যুগের কবিদের সম্পর্কে কুরআনের সূরা আশ শূ’আরায় বলা হয়: ওয়াশ শু’আরাউ ইয়াত্তাবিউ হুমুল গবূন, আলাম তারা আন্নাহুম ফী কুল্লি ওয়াদিঁই ইয়াহীমূন, ওয়া আন্নাহুম ইয়াকূলূনা মা-লাইয়াফআলূন – “আর কবিরা! ওদের পেছনে তো চলে পথভ্রষ্ট যারা, দেখছোনা তারা মাথা খুঁড়ে ফেরে প্রতি ময়দানে আর বলে বেড়ায় যা করে না তাই।“ এভাবে জাহেলী যুগের সাহিত্য চিন্তার মূলধারাকে ইসলাম ভ্রষ্টতার আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে। জাহেলী যুগের সাহিত্য চিন্তা কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্যাভিসারী ছিল না। বিভ্রান্ত চিন্তার বিভিন্ন অলিতে গলিতে সে চিন্তা ছুটে বেড়াতো। চিন্তার স্থিরতার মাধ্যমে জীবনকে কোন এক লক্ষ্যবিন্দুতে পৌঁছিয়ে দেয়ার দায়িত্ব সেখানে নেয়া হয়নি। তাই জাহেলী যুগের কবিদের কথা ও কাজের কোন মিল ছিল না। বড় বড় বুলি আওড়ানোই ছিল তাদের পেশা। সেই অনুযায়ী কাজ করা বা নিজেদের দাবী অনুযায়ী ...

প্রথম মানব

 প্রতিদিন ফজরের পর ঘরে যেন বেহেশত নেমে আসে। মনে হয় হযরত জিবরাইল এসে রহমতের ডানা বিছিয়ে দেয় সবখানে । মনে হয়, এইতো এখন‌ই আসমান থেকে এলো হৃদয়গলা সুরের নির্ঝর। নেমে এলো ফেরদাউসের হাসনাহেনায় ভেজা বাতাসের ঢেউ!

সবার মুখে মুখে যখন কুর‌আনের আয়াত দুলে ওঠে- এর চেয়ে ভালো সময় আর কী হতে পারে?

প্রায় প্রতিদিনের মতো আজও, জুবায়ের এসে চুপ চাপ বসে পড়লো দাদার পাশে। দাদার মধুঝরা তিলাওয়াত শুনতেই ইচ্ছে করে। তিলাওয়াত শেষে দাদা বললেন, আজ যে আয়াত গুলো পড়েছি সেখানে কী আছে জানো? জুবায়ের বলল, না।

তখন দাদা বললেন, এখানে প্রথম মানুষ আদম আঃ এর পৃথিবীতে আসার গল্প রয়েছে।

জুবায়ের বলল, তা হলে শোনাও দাদা আদম আঃ এর গল্প।

দাদা বললেন, আল্লাহ ফেরেশতাদের বললেন- আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করছি । তারা বলল, আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে ও রক্ত ঝরাবে? অথচ আমরাই তো আপনার প্রশংসা সহ গুণ গান করছি এবং আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আমি যা জানি, তোমরা তো তা জানো না।" ( সূরা আল বাকারা : ৩০ )

এর পর আল্লাহ আদম আঃ কে সকল কিছুর নাম শেখালেন। ফেরেশতাদের বললেন-আমাকে এগুলোর নাম বলো দেখি! তারা বলল, আমরা পারি না। আদম আঃ সব বলে দিলেন। তাদের আদেশ দিলেন- আদম কে সিজদা করো। ইবলিস ছাড়া সবাই সিজদা করলো! আল্লাহ বললেন, হে আদম আপনি এবং আপনার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করুন এবং সেখান থেকে ইচ্ছে মত আহার করুন। কিন্তু এই গাছটির কাছে যাবেন না। ( সূরা আল বাকারা: ৩৫)

তবে শয়তান বসে থাকেনি। সে তাদের প্ররোচনা দিলো। তারা নিষিদ্ধ গাছের ফল খেয়ে বসলেন। আল্লাহ বললেন তোমরা পৃথিবীতে নেমে পড়ও। কিছু দিনের জন্য তোমাদের আবাস ও জীবিকা সেখানেই। আদম আঃ তাওবা করলেন, আল্লাহ তা কবুল করে নিলেন। বললেন যারা আমার হেদায়াত অনুসরণ করবে তাদের ভয় নেই।

জুবায়ের বলল, দাদা আমরা তো তা হলে জান্নাত থেকে এসেছি। আবার জান্নাতে ফিরে যেতে চাই। দাদা বললেন, আদম আঃ কে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে ইনসাফের সাথে আল্লাহর বিধান কায়েমের জন্য। জান্নাতে যেতে হলে তোমাকে সে কাজ‌জের‌ই প্রতিনিধি করতে হবে। জুবায়ের বলল ইনশাআল্লাহ।


Comments

Popular posts from this blog

শরীয়তে ছুন্নাহর স্থান

রাসূল (স) এর দাওয়াত ও দাওয়াতের উদ্দেশ্য

হযরত ওস্‌মানের শাহাদাত