Posts

Showing posts from May, 2023

ইসলামী সাহিত্যের নিদর্শন

Image
ইসলামী সাহিত্যের নিদর্শন ইসলামী দাওয়াত প্রথম দিন থেকেই সঠিক বিপ্লবের রূপে আত্মপ্রকাশ করে। চিন্তার মোড় ফিরিয়ে দেয়া, কথা ও কাজের ধারার পরিবর্তন করা এবং সমাজ কাঠামো বদলে দেয়াই হয় তার লক্ষ্য। সাহিত্যের যে ধারা জাহেলী যুগ থেকে চলে আসছিল ইসলাম এসে তার খোল নলচে পাল্টে দেয়। জাহেলী যুগের কবিদের সম্পর্কে কুরআনের সূরা আশ শূ’আরায় বলা হয়: ওয়াশ শু’আরাউ ইয়াত্তাবিউ হুমুল গবূন, আলাম তারা আন্নাহুম ফী কুল্লি ওয়াদিঁই ইয়াহীমূন, ওয়া আন্নাহুম ইয়াকূলূনা মা-লাইয়াফআলূন – “আর কবিরা! ওদের পেছনে তো চলে পথভ্রষ্ট যারা, দেখছোনা তারা মাথা খুঁড়ে ফেরে প্রতি ময়দানে আর বলে বেড়ায় যা করে না তাই।“ এভাবে জাহেলী যুগের সাহিত্য চিন্তার মূলধারাকে ইসলাম ভ্রষ্টতার আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে। জাহেলী যুগের সাহিত্য চিন্তা কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্যাভিসারী ছিল না। বিভ্রান্ত চিন্তার বিভিন্ন অলিতে গলিতে সে চিন্তা ছুটে বেড়াতো। চিন্তার স্থিরতার মাধ্যমে জীবনকে কোন এক লক্ষ্যবিন্দুতে পৌঁছিয়ে দেয়ার দায়িত্ব সেখানে নেয়া হয়নি। তাই জাহেলী যুগের কবিদের কথা ও কাজের কোন মিল ছিল না। বড় বড় বুলি আওড়ানোই ছিল তাদের পেশা। সেই অনুযায়ী কাজ করা বা নিজেদের দাবী অনুযায়ী ...

ইসলামী সাহিত্যের নিদর্শন

Image
ইসলামী সাহিত্যের নিদর্শন ইসলামী দাওয়াত প্রথম দিন থেকেই সঠিক বিপ্লবের রূপে আত্মপ্রকাশ করে। চিন্তার মোড় ফিরিয়ে দেয়া, কথা ও কাজের ধারার পরিবর্তন করা এবং সমাজ কাঠামো বদলে দেয়াই হয় তার লক্ষ্য। সাহিত্যের যে ধারা জাহেলী যুগ থেকে চলে আসছিল ইসলাম এসে তার খোল নলচে পাল্টে দেয়। জাহেলী যুগের কবিদের সম্পর্কে কুরআনের সূরা আশ শূ’আরায় বলা হয়: ওয়াশ শু’আরাউ ইয়াত্তাবিউ হুমুল গবূন, আলাম তারা আন্নাহুম ফী কুল্লি ওয়াদিঁই ইয়াহীমূন, ওয়া আন্নাহুম ইয়াকূলূনা মা-লাইয়াফআলূন – “আর কবিরা! ওদের পেছনে তো চলে পথভ্রষ্ট যারা, দেখছোনা তারা মাথা খুঁড়ে ফেরে প্রতি ময়দানে আর বলে বেড়ায় যা করে না তাই।“ এভাবে জাহেলী যুগের সাহিত্য চিন্তার মূলধারাকে ইসলাম ভ্রষ্টতার আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে। জাহেলী যুগের সাহিত্য চিন্তা কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্যাভিসারী ছিল না। বিভ্রান্ত চিন্তার বিভিন্ন অলিতে গলিতে সে চিন্তা ছুটে বেড়াতো। চিন্তার স্থিরতার মাধ্যমে জীবনকে কোন এক লক্ষ্যবিন্দুতে পৌঁছিয়ে দেয়ার দায়িত্ব সেখানে নেয়া হয়নি। তাই জাহেলী যুগের কবিদের কথা ও কাজের কোন মিল ছিল না। বড় বড় বুলি আওড়ানোই ছিল তাদের পেশা। সেই অনুযায়ী কাজ করা বা নিজেদের দাবী অনুযায়ী ...

জীবনের উদ্দেশ্য কী?

Image
জীবনের উদ্দেশ্য কী? জগত ও জীবনের স্রষ্টা আমাদের এমনি সৃষ্টি করেছেন? না আমাদের সৃষ্টির পেছনে রয়েছে কোন উদ্দেশ্য? আমরা যখন সামান্য, খুব ছোট একটা জিনিস তৈরি করি, সেখানে আমাদের একটা না একটা উদ্দেশ্য থাকেই। তাকে আমরা কোন না কোন কাজে লাগাই। তাহলে বস্তু-অবস্তু নির্বিশেষে বিশাল জগতের মহান স্রষ্টা আমাদের কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেননি, এটা কেমন করে হতে পারে? আমাদের দিয়ে তিনি কোন কাজ করাতে চান না, এটা কি কখনো কল্পনাও করা যায়? জগতের বুকে আমাদের টিকে থাকার ও কাজ করার যাবতীয় উপকরণ তিনি আমাদের এখানে আসার লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি বছর আগে তৈরি করেছেন। এই লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি বছর ধরে এই উপকরণগুলোকে কেবল আমাদের উপযোগী করেছেন। এত কিছু সাজ-সরঞ্জাম, যোগাড়যন্ত্র করে তিনি আমাদের সৃষ্টি করলেন। আর এ সৃষ্টির পেছনে কোন উদ্দেশ্য নেই, এটা কেমন করে বলা যায়? একজন বুদ্ধিভ্রষ্ট মানুষই কেবল এ সত্যটি অস্বীকার করতে পারে। আর যদি এখানে স্রষ্টাকে স্বীকারই করা না হয় তাহলে বিশ্ব জগতের এই সব সাজ সরঞ্জামের যেকোন ব্যাখ্যাই এখানে অচল। আমাদের সৃষ্টির প্রথম দিনে স্রষ্টা সৃষ্টির যে উদ্দেশ্য ব্যক্ত করেছিলেন তা ছিল: ইন্নী জা-‘ইলুন ফিল আর...

জীবন ও জগতের সম্পর্ক

Image
জীবন ও জগতের সম্পর্ক- আমরা প্রথম চোখ মেলি পৃথিবীর কোলে। পৃথিবীর আলো বাতাসে আমাদের প্রাণ স্পন্দিত হয়। এর খাদ্য শস্য ফলমূলে দেহ পরিপুষ্ট হয়। জীবনে জোয়ার আসে। জীবনের নৌকা ভেসে চলে গভীর পানিতে। আমাদের চারপাশের এই পৃথিবী, আকাশ-বাতাস, আলো-আঁধার, প্রকৃতি-পরিবেশ সবটা নিয়ে আমাদের জগত। আমাদের চিন্তা ভাবনা, আশা-আকাংখা, আগ্রহ-অনাগ্রহ তার ঘোড়া ছুটিয়ে চলে যতক্ষণ আমরা এই জগতের বুকে আছি ততক্ষণ। যখনই চোখ দু’টি মুদে জগতের বুক থেকে বিদায় নিই মুহূর্তেই সেই দূরন্ত ছুটন্ত ঘোড়া উধাও হয়। আমাদের জীবন আমাদের জগতের সাথে এক সূতোয় বাঁধা। একটা টানলে আরটা আসে, আরটা টানলে অন্যটা আসে। জীবন শেষ হয়ে গেলে মনে হয় জগতও বুঝি নেই। আবার জগতের যেদিন শেষ মুহূর্ত ঘোষিত হবে সেদিন জীবনেরও বিলোপ ঘটবে। কল্পনার পাখায় ভর করে আমরা জগতের সীমানাও পেরিয়ে যাই। কিন্তু চৈতন্য ফিরে পাওয়ার সাথে সাথেই কল্পনার পাখিটি দুম করে আছড়ে পড়ে জগতের বুকে। জগতের সূতোয় আমাদের জীবন আষ্টে-পৃষ্ঠে বাঁধা। একটু নড়াচড়া করে পটপট করে যে এই সূতোগুলো ছিড়ব সে আশায়ও গুড়ে বালি। যতদিন জগতের বুকে থাকি আমরা কাজ করে যাই। ভালো মন্দ সব রকম কাজ আমরা করি। জগতটা যেন যন্ত্র আমরা ত...

ইসলামী নৈতিকতা

Image
ইসলামী নৈতিকতা: নৈতিক চরিত্রের দ্বিতীয় প্রকার যাকে আমি “ইসলামী নৈতিকতা” বলে অভিহিত করেছি এ সম্পর্কেও আলোচনা করতে হবে। মুলত এটা মৌলিক মানবীয় চরিত্র হতে স্বতন্ত্র ও ভিন্নতর কোনো জিনিস নয়, বরং তার বিশুদ্ধকারী ও পরিপূরক মাত্র। ইসলাম সর্বপ্রথম মানুষের মৌলিক মানবীয় চরিত্রকে সঠিক ও নির্ভুল কেন্দ্রের সাথে যুক্ত করে দেয়। অতপর এটা সম্পূর্ণরূপে কল্যাণকর ও মঙ্গলময়ে পরিণত হয়। মৌলিক মানবীয় চরিত্র একেবারে প্রাথমিক অবস্থায় বস্তুনিরপেক্ষ নিছক একটি শক্তি মাত্র। এই অবস্থায় তা ভালও হতে পারে, মন্দও হতে পারে, কল্যাণকরও হতে পারে, অকল্যাণের হাতিয়ারও হতে পারে। যেমন, একখানী তরবারি একটি তীর শাণিত অস্ত্র মাত্র। এটা একটি দস্যুর মুষ্টিবদ্ধ হলে যুলুম পীড়নের একটি মারাত্মক হাতিয়ারে পরিণত হবে। আর আল্লাহর পথে জিহাদকারীর হাতে পড়ে এটা হতে পারে সকল কল্যাণ ও মঙ্গলের নিয়ামক। অনুরূপভাবে “মৌলিক মানবীয় চরিত্র” কারো মধ্যে শুধু বর্তমান থাকাই তার কল্যাণকর হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। বরং নৈতিক শক্তি সঠিক পথে নিয়োজিত হওয়ার উপরই তা একান্তভাবে নির্ভর করে। ইসলাম একে সঠিক পথে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত করে মাত্র। ইসলামের তাওহীদী দাওয়াতের ...

ইকামাতে দীন ও বাইয়াত

Image
  ইকামতে দীন ও বাইয়াত  রাসূল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের জীবন থেকে একথা প্রমাণিত যে, ইকামাতে দ্বীনের কাজ সব ফরযের বড় ফরয। এ কাজের জন্যই আল্লাহ পাক রাসূল পাঠিয়েছেন বলে কয়েকটি সূরায় ঘোষণা করেছেন। هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَىٰ وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ ‘তিনিই সে সত্তা, যিনি তাঁর রাসূলকে হেদায়াত ও আনুগত্যের একমাত্র সত্য বিধানসহ পাঠিয়েছেন, যেন রাসূল (সা.) তাকে (বিধানকে) আর সব রকমের আনুগত্যের বিধানের উপর জয়ী করেন।’ (সূরা তাওবা ৩৩, সূরা ফাত্‌হ ২৮ ও সূরা সফ ৯ আয়াত) এ বিরাট কাজটি এমন যে নবীর পক্ষেও এ কাজ একা করা সম্ভব নয়। তাই এ কাজের জন্য একদল যোগ্য লোক তৈরি করার প্রচেষ্টা সকল নবীই করেছেন। যে নবী প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোক পাননি তাঁর হাতে ইসলাম বিজয়ী হয়নি বা দ্বীন কায়েম হতে পারেনি। এ দ্বারা একথাই প্রমাণিত হয় যে, ইকামাতে দ্বীনের জন্য মুসলিমদের জামায়াত বা সংগঠন অপরিহার্য। অর্থাৎ ইকামাতে দ্বীনের এ বড় ফরয কাজটির জন্য জামায়াতবদ্ধ হওয়াও ফরয। এভাবেই জামায়াতবদ্ধ হওয়া দ্বিতীয় বড় ফরয। বাইয়াতই হল জামায়াতী বন্ধনের সূত্র। তাই ইকামাতে দ্বীনের জন্য বাইয়াত ছাড়া উপায়...

সরকারি ব্রজমোহন কলেজ

Image
 সরকারি ব্রজমোহন কলেজ ব্রজমোহন কলেজ বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যা সংক্ষেপে বিএম কলেজ নামে পরিচিত। এই কলেজ বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-এর অধিভুক্ত। এর অফিসিয়াল নীতিবাক্য হলো- 'সত্য, প্রেম ও পবিত্রতা'। সরকারি ব্রজমোহন কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৮৯ সালের ১৪ জুন তারিখে। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণাংশে বরিশাল শহরে ৬০ একর জায়গার ওপর অবস্থিত। বর্তমানে ব্রজমোহন কলেজে ৪টি অনুষদের অধীনে ২২টি বিভাগ এবং উচ্চ মাধ্যমিকে প্রায় ২৪,০৯৪ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। কলেজটিতে প্রতিবছর স্নাতক শ্রেণিতে ৫,২৮৫ জন এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৬০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। এতে ছাত্রদের জন্য আবাসিক হল রয়েছে ৪টি এবং ছাত্রীদের জন্য ৩টি। সরকারি ব্রজমোহন কলেজের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৯৩,৩৪৭টি।

রাসূল (স) এর দাওয়াত ও দাওয়াতের উদ্দেশ্য

Image
  রাসূল (স) এর দাওয়াত ও দাওয়াতের উদ্দেশ্য একটি দাওয়াত ও একটি আন্দোলনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য থাকতে হবে স্বচ্ছ সুস্পষ্ট। আর লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে থাকা চাই সঠিক ধারণা। সুস্পষ্ট বুঝ। লক্ষ্য উদ্দেশ্য হওয়া চাই স্থায়ী। ক্ষণস্থায়ী নয়। রদবদল করার মতো নয়। পরিবেশ পরিস্থিতির চাপ এবং কালের আবর্তনে বিকৃত হবার নয়। উদ্দেশ্য যদি হয় একাধিক তবে সে গুলোর মধ্যে চাই সামঞ্জস্য পূর্ণ নয়। উদ্দেশ্য যদি হয় একাধিক তবে সেগুলোর মধ্যে চাই সামঞ্জস্য পূর্ণ বিন্যাস। এ বিন্যাস যেনো ওলট পালট না হয়। শাখা প্রশাখা যেনো মূলের স্থান দখল করে না বসে এবং মূল যেনো গুরুত্বহীন হয়ে না পড়ে। কারণ,দাওয়াতে দ্বীনের এবং ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ মূলকাজ ছিলো কুরআনের। তাই নবী পাক (স) যেনো তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত আন্দোলন এবং তাঁর শিক্ষাদান কাজে একথাগুলো গুরুত্বেও সাথে মেনে চলেন, কুরআন তার পয়গামের মাধ্যমে সে ব্যবস্থা করেছে।   দাওয়াতের সম্পর্ক আল্লাহর সাথে: রাসূল (স) প্রথম দিন থেকে মানুষকে যেদিকে আহ্বান করেছেন,যা কিছু তাদের শুনিয়েছেন এবং যা কিছু তাদের নিকট পৌঁছিয়েছেন, সেগুলোর সম্পর্ক কায়েম করেছেন তিনি নিজের রবের সাথে। মহান আল্লাহর সাথে। তিনি প...

সরকারি ব্রজলাল কলেজ,

Image
  সরকারি ব্রজলাল কলেজ সরকারি ব্রজলাল কলেজ, যা সরকারি বিএল কলেজ নামে অধিক পরিচিত। এটি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের অন্যতম প্রধান কলেজ। এই কলেজ বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-এর অধিভুক্ত। এর অফিসিয়াল নীতিবাক্য হলো- 'এসো জ্ঞানের সন্ধানে, ফিরে যাও দেশের সেবায়।' ১৯০২ সালের ৭ জুলাই ব্রজলাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজটি খুলনা শহরের দৌলতপুরে ভৈরব নদীর তীরে ৪১.০৫ একর জায়গার ওপর অবস্থিত। বর্তমানে ব্রজলাল কলেজ-এ ৪টি অনুষদের অধীনে মোট ২১টি বিভাগে এবং উচ্চ মাধ্যমিকে প্রায় ৩৩,০০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। কলেজটিতে প্রতিবছর স্নাতক শ্রেণিতে ৪,৭৩৫ জন এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৬৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। কলেজটির অধীনে ছাত্রদের জন্য ৫টি এবং ছাত্রীদের জন্য ২টি আবাসিক হল রয়েছে। কলেজের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা ১,১৮,৩৫০টি। সাথে সমৃদ্ধ আইসিটি ল্যাবও রয়েছে।

রাসূলের আদর্শ

Image
  রাসূলের আদর্শ:- الحَمْدُ لله نَحْمَدُهُ وَنُصَلِّي عَلَى رَسُولِهِ الكَرِيمُ কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা সবটুকুই সেই মহান সত্তার জন্যে, যিনি নিখিল জগতের রব। যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন। দেখবার, শুনবার, চিন্তা করবার ও বুঝবার মতো নিয়ামত দান করেছেন। ইচ্ছা শক্তির আযাদীর মতো মহান আমানত দান করেছেন। আমাদের হিদায়াতের জন্যে রিসালতের ধারাবাহিকতা কায়েম করেছেন।   সালাম ও আনুগত্যের নজরানা পেশ করছি সেই আখিরী রাসূলের (স) খেদমতে, যিনি আমাদের মালিকের হিদায়াত আমাদের পৌঁছে দিয়েছেন, আল্লাহর দিকে আমাদের আহ্বান করেছেন। সুসংবাদ দিয়েছেন। সাবধান ও সতর্ক করেছেন। জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত আমাদের প্রশিক্ষণ এবং সঠিক পথে জীবনযাপনের নির্দেশনা দান করেছেন।   আদর্শ নেতা ও শিক্ষক   রাসূলে করীম (স) এর জিন্দেগী এক প্রজ্জ্বল প্রদীপ ‘সিরাজাম মুনীর’।   ১. কুরআন মাজীদে এ একই ‘সিরাজ’ (প্রদীপ) শব্দ দ্বারা সূর্যেও উপমা পেশ করা হয়েছে।   ২. আমাদের উপরের এ সূর্য, তাপ, শক্তি ও জীবনের এমন এক পরিপূর্ণ ভান্ডার, যাকে আল্লাহ তায়ালা গোটা পৃথিবীর সমগ্র সৃষ্টির জন্যে তাপ, শক্তি ও জীবন লাভের উৎস হিসেবে তৈরী করেছেন। তার কিরণ...

শরীয়তে ছুন্নাহর স্থান

  শরীয়তে ছুন্নাহর স্থান রছূলের দায়িত্বঃ আল্লাহ তা’আলা তাঁহার কিতাবে দুইটি কথা স্পষ্টভাবে বলিয়া দিয়াছেন। তাঁহার রছুল-এর দায়িত্ব এবং রছুল-এর উম্মতীদের কর্তব্য। রছূল-এর দায়িত্ব সম্পর্কে আল্লাহ বলিয়াছেন [আরবী……………………….] ১. ‘আল্লাহ মু’মিনদের প্রতি বড় মেহেরবানী করিয়াছেন যে, তিনি তাহাদের প্রতি তাহাদের মধ্য হইতে এমন একজন রছুল পাঠাইয়াছেন যিনি তাহাদের নিকট-(১) আল্লাহর আয়াতসমূহ আবৃত্তি (তেলাওয়াত) করেন, (২) (শিরক ও কুফরীর কলুষ হইতে) তাহাদিগকে পবিত্র করেন এবং (৩) তাহাদেরকে (ক) আল্লাহর কিতাব এবং (খ) হিকমত তা’লীম দিয়া থাকেন।‘ (ছুরা আলে ইমরান-১৬৪) এই মর্মে ছুরা-বাকারায় দুইটি (১২৯,১৫১) এবং ছুরা জুমাআয় একটি আয়াত রহিয়াছে অপর জায়গায় বলিয়াছেনঃ [আরবী……………………….] ২. ‘আমি আপনার প্রতি জিকর (কোরআন) নাজিল করিয়াছি যাহাতে আপনি-তাহাদের প্রতি যাহা নাজিল করা হইয়াছে, তাহাদিগকে তাহা খোলাসা করিয়া বুঝিইয়া দেন।– নহল-৪৪ কলুষ হইতে মানুষকে পবিত্র করা, এবং (৩) কিতাব ও হিকমত মানুষকে হাতে-কলমে তালীম রছুলেরে দায়িত্ব (কবলমাত্র কিতাব পৌছাইয়া দেওয়া (আবৃত্তি করা), (২) শিরক ও কুফরীর দেওয়া বা আল্লাহর কিতাব তাহাদিগকে খোলাসা করিয়া বু...